শবে মেরাজের রোজা সর্ম্পকে আমাদের ধারনা।কয়টি রোজা রাখব
রসূল (স:) কে আল্লাহ তায়ালা উর্ধ্ব জগতে ভ্রমন করিয়েছেন। রসুলুল্লাহ (স:) মসজিদ হারাম থেকে নিয়ে মসজিদে আকসা পর্যন্ত ভ্রমন করেছেন। এরপরে প্রথম আসমান, দ্বিতীয় আসমান, তৃতীয় আসমান, চতুর্থ আসমান,পঞ্চম আসমান, ষষ্ঠ আসমান, সপ্তম আসমান,সিদরাতুল মুনতাহা, আল্লাহ তায়ালার আরস, জান্নাত, জাহান্নাম, সবকিছু আল্লাহ তায়ালা ভ্রমন করিয়েছেন স্বশরীরে। আল্লাহ তায়ালার আরশ, জান্নাত জাহান্নাম সব কিছু আল্লাহ তায়ালা ভ্রমন করিয়েছেন স্বশরীরে। শবে মেরাজে অনেক গুলো অলৌকিক ঘটনা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ঘটনা হলো রসূলের মেরাজ।রসুল (স:) এর মেরাজ উপলক্ষে কোন রোজা আছে কিনা। রসুল (স:) মেরাজ উপলক্ষে কোন রোজা পালন করেছেন কিনা এটা আমাদের জানার বিষয়। রজব মাসে রসুল (স:) এর মেরাজ হয়েছে অধিকাংশ ওলামা একরাম বর্ননা করেছেন। রসুলুল্লাহ (স:) এর মেরাজের ঘটনা। এটি রজব মাসেই সংগঠিত হয়েছে । এটি পুরোপুরি সঠিক কথা নয়।তবে অধিকাংশ ওলামায় একরাম বর্ননা করেছেন যে রজব মাসের ২৬ তারিখে দিবাগত রাত্রে রসুলুল্লাহ (স:) এর মেরাজ সংগঠিত হয়েছে। রসূলুল্লাহ (স:) এর মেরাজ উপলক্ষে অনেক জায়গায় দেখা যায় যে অনেকে ২৭ শে রজবে রোজা পালন করে থাকেন।কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে এ আমলটি কোন উল্লেখযোগ্য কোন আমল নয়। রসুলুল্লাহ (স:) এর মেরাজ উপলক্ষে কোন রোজা হাদিস ও কোরআনে নেই। তাই অন্যান্য সময় স্বাভাবিক ভাবে কোন মুমিন মুসলিম ভাই ও বোনেরা যদি রোজা রাখে তেমনি ভাবে রোজা রাখলে ছওয়াব হবে। তাই এটাকে জরুরী মনে না করে কোন ব্যক্তি ২৭শে রজবে রোজা পালন করে ঠিক তেমনি ছওয়াব হবে। অতিরিক্ত আলাদা তাকে কোন সওয়াব দেওয়া হবে না।
তবে আমরা এটাকে জরুরি মনে না করে যদি কোন ব্যক্তি রোজা পালন করে ।রসুলুল্লাহ (স:) এর মেরাজ হয়েছেে এটাকে শুকরিয়া আদায়ের জন্য এই মেরাজের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা উপঢৌকন দান করেছেন। সেটা হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামায। হাদিস শরীফে রসুলুল্লাহ (স:) বলেছেন, আসসলাতু মেরাজুল মুয়মিনিন অর্থ নামাজ হলো মুনিনের মেরাজ। কোন মুমিন মুসলমান যখন নামাজ পরে। তাই কেমন যেন মেরাজে গমন করেতেছে। আল্লাহ তায়ালার সাথে কথোপকোথন করেতেছে। আল্লাহ তার রসুল(স:)কে উর্ধ্ব জগতে নিয়ে সরাসরি কথা বলেছেন।
Leave a Comment