বিসমিল্লাহ শরীফ ১৯ বার পড়ার ফজিলত এবং বিপদ আপদ থেকে মুক্তি লাভ
সুপ্রিয় ইসলামের রাস্তার দর্শক মন্ডলী। আশা করি মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানীতে সবাই ভালো আছেন। প্রিয় দর্শক আজকে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো বিসমিল্লাহ শরীফ এর বিশেষ ফজিলত সর্ম্পকে জানতে ভিডিও টি না টেনে দেখুন।সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী, হযরত আবু হুরায়রা রা: হতে বর্নিত, রাসুল(স:) তাঁকে লক্ষ্য করে এরশাদ করেন, হে আবু হুয়ায়রা তুমি যখন অজু করবে, এই শব্দ বলবে তাহলে ফেরেশতাগন তোমার অজু শেষ না হওয়া পর্যন্ত, তোমার জন্য পূর্ন লিখতে থাকবে।তুমি যখন স্ত্রীর সাথে মিলিত হবে তখন এই শব্দ বলবে, তাহলে যতখন না তুমি পবিত্র হবে ততক্ষন পর্যন্ত ফেরশতারা তোমার জন্য পূর্ন লিখতে থাকবে।যদি মহান রব্বুল আল-আমিন তোমাদের কোন নেক সন্তান দান করেন, তবে সেই সন্তানের নিশ্বাস এবং তার যদি বংশ ধারা চালু থাকে,তবে যত কাল তা চালু থাকবে তত কাল পর্যন্ত তাদের সবার নিশ্বাসের সংখ্যা পরিমান পূর্ন তোমার আমল নামায় লিখা হতে থাকবে।হে আবু হুরায়রা তুমি যখন পশুর পিঠে চড়বে,তখন এই শব্দ বলবে তাহলে তার প্রতি কদমে তোমার জন্য পূর্ন লিখা হবে। আর যখন নৌকায় চড়বে তক্ষন ও এই শব্দ বলবে, তাহলে যতখন না তুমি তার থেকে নামবে ততক্ষন পর্যন্ত তোমার জন্য পূর্ন লিখা হতে থাকবে।এই মহিমান্নিত বাক্য টি হচ্ছে ‘বিসমিল্লাহ শরীফ‘ সুবহানাল্লাহ আমরা অনেকেই জানি না এই সংক্ষিপ্ত বাক্য টির মধ্যে কত রহমত বরকত মাগফিরাত লুকিয়ে আছে। বিসমিল্লাহ এর অর্থ আল্লাহ রব্বুল আলামিনের নামে শুরু করছি। প্রিয় দর্শক, আমরা যেকোন কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়বো। ইনশাআল্লাহ এই আমলটি বেশি বেশি করার তৌফিক দান করুন। আমাদের মনের ধারনা আমরা এই আমলটি জানি। সেই জন্যেই আমলটির কদর করছি না। বিশ্বাস হয় এই আমলটির ভিতরে কত ফজিলত লুকিয়ে আছে।এরশাদ হয় বিসমিল্লাহ শরীফ এর মধ্যে ১৯ টি হরফ আছে। এই ১৯ টি হরফের বিশেষত্ব এই যে, দিবা রাতে মোট ২৪ ঘন্টা,৫ ঘন্টা ৫ ওয়াক্ত নামাজের জন্য আর বাকি ১৯ ঘন্টা মানুষের কাজ কর্ম চলাফিরা পানাহার ও নিদ্রায় কাটায়।আল্লাহ তায়ালা ঐ সময়ের মধ্যে ইবাদাত এর জন্য বিসমিল্লাহ কে নিদিষ্ট করেছেন। সুবহানাল্লাহ। এই বিসমিল্লাহ শরীফের বরকতে মানুষ বিপদ আপদ হতে বেঁচে থাকে। তাই আমাদের প্রত্যেক ঘন্টায় বিসমিল্লাহ শরীফ পাঠ করা উচিত।হাদিস শরীফে বর্নিত আছে যখন বিসমিল্লাহ শরীফ অবতীর্ন হয়, তখন তার মর্যাদা ও মহানুভবতায় ভয়ে পাহাড় পর্বত কম্পমান হতে থাকে।হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: বলেন, যে ব্যক্তি দোযখ রক্ষি ১৯ জন ফেরেশতার আজাব থেকে মুক্তি পেতে চায়, তার কর্তব্য অধিক সংখ্যক বার বিসমিল্লাহ পড়া।কারন, বিসমিল্লাহ তে ১৯ টি বর্ণ এক একটি বর্ণ পাঠের বরকতে এক একজন ফেরেশতা কাঠোর আজার হতে মুক্তি পাওয়া যাবে। সুবহানাল্লাহ তাই আল্লাহ পাক যেন আমাদের সব সময় বিসমিল্লাহ পড়ার অভ্যাস তৈরি করেদেন। যে ভাই এবং বোন এই ভিডিও টি দেখছেন ।আজ থেকে আমরা শপথ করি যে কোন কাজের শুরুতে আমরা বিসমিল্লাহ পড়বো। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের বেশী বেশী পড়ার তৌফিক দান করুন। আমিন
Leave a Comment