পবিত্র শাবানে বান্দার কোন আমল গুলো পেশ করা হয় আল্লাহর নিকট - Islamer Rasta in Muslim

পবিত্র শাবানে বান্দার কোন আমল গুলো পেশ করা হয় আল্লাহর নিকট


প্রিয় দর্শক আপনারা জানেন এটি শাবানের মাস কিছুদিন পরেই লাইলাতুল নিছফে মিন শাবান আসবে বা লাইলাতুল শবেবরাত কে ঘিরে বিভিন্ন রকমের রেউয়াত চালু আছে। আপনারা জানেন কিছু কিছু আমল সহীহ হাদিস দ্বার প্রমানিত এবং আপনারা জানেন কিছু কিছু আমল সহীহ হাদিস দ্বার প্রমানিত না।


সবচেয়ে বেশি এই রমজান মাসে রোজা রেখেছিলেন যা সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমানিত। হযরত আবু হুরায়রা (রা) এবং মা আয়েশা রা: বলেন, রাসুল (সা) কে আমরা এই শাবানের চাঁদে সবচেয়ে বেশি রোযা রাখতে দেখেছি এবং এই চাঁদে তিনি সারা বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি রোজা রাখতেন।


এবং তারা আরো বলেনে যে, এই শাবানের চাঁদে রাসুল (স) এমনভাবে রোজা রাখতেন যেনো মনে হতো তিনি সারা মাস জুড়ে একটি রোযাও ভাঙতে চাইতেন না। পরবতীতে আবার তিনি বিরতি দিতেন এবং আবার রোজা রাখতেন এবং এভাবে করে তিনি রমজান মাসের চাঁদ উঠার ২ থেকে ৫ দিন পূর্ব  সময় পর্যন্ত তিনি নফল রোজা রাখতেন।
রাসুল (সা:) একটি হাদীসে আমাদের আদেশ করলেন যে, তোমরা আমলকে আঁকড়ে ধরো যতক্ষন না পর্যন্ত তোমরা আমল করতে করতে ক্লান্ত না হয়ে যাও। তিনি আরো বলেন, তোমরা হয়তো আমল করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাবে কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তোমাদের দিতে থাকবেন এবং তিনি ক্লান্ত হন না। সুবহানাল্লাহ
প্রিয় মুসলমান এতে বোঝা গেল এই শাবানের চাঁদে রসুল(স) এতো বেশি রোজা রাখতেন যে, তিনি রোযা কখনই ভাঙতে চাইতেন না। এই মাস রসুল(স:)এর রোযা রাখার যত গুলো কারন আছে। তার মধ্যে অন্যতম কারন আমরা সহীহ হাদিসে পাই। রসুল (স:) বলেছেন, এই মাসে আল্লাহ বান্দার আমল আল্লাহ তাআলার কাছে পেশ করা হয় এবং এটি সহি হাদিস দ্বারা প্রমানিত। 

এই ব্যাপারে সুনানে নাসাঈ এর একটি সহি বর্ননায় এসেছে তা হলো, রাসুল (স:) বলেন, এই শাবান মাসে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালার কাছে ফেরেশেতারা মানুষের আমল পেশ করে থাকেন। তিনি বলেন. আমি বিষয়টি বেশি পছন্দ করছি যে, আমি রোজা অবস্থায় আছি এবং আমার আমলনাম আল্লাহ রব্বুল আলামীনের নিকট ফেরেশতারা পেশ করছেন। এর দ্বারা প্রমানিত হলো যে,শুধু ১৩, ১৪ ,১৫,১৬  তারিখেই রোজা নয়। মাসের যে কোন সময় আপনি রোযো রাখতে পারেন। এবং যত বেশি সম্ভব রোজা রাখতে পারেন।  আপনি দুইটা রাখলে এবং একটি ভাঙলেন আবার পরবতীতে তিনটি রাখলেন আবার একটি ভাঙলেন এভাবে করে আপনি পুরো মাস জুড়ে রোযা রাখবেন। 
মা আয়েশা রা: এর বর্ননায় আরেকটি হাদীসে এসেছে যে, রাসুল (স:) রমজান মাসের পর সবচেয়ে বেশি রোজা রাখতেন এই শাবান মাসে।
রাসুল (স:) বলেছেন, ফেরেশেতারা মানুষের আমলনামা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রতি সপ্তাহে দুইবার পেশ করে থাকেন এবং দিনগুলো সোমবার ও বৃহস্পতিবার। প্রিয় দর্শক তার মানে আমল নামা পেশ করা মানে রির্পোট পেশ করা। সেই রির্পোট এক সপ্তাহের হতে পারে বা এক বছরের হতে পারে। এমনকি ১ মাসেরও হতে পারে। তবে শাবানের চাঁদের ১৪ তারিখে আল্লাহর নিকট আমল নামা পেশ করা হয় এই ধরনের হাদিস আমরা পাই না। হাদিস থেকে আমরা যা পাই তা হলো শাবানের চাঁদরে যে কোন দিন যে কোন সময় আল্লাহ তায়ালার নিকট মানুষের আমল নামা পেশ করা হয়। রাসুল (স:) বলেন , আমি পছন্দ করি রোযা থাকা অবস্থায় আল্লাহ তাআলার নিকট আমার আমল নামা যাহাতে পেশ হয়। আমরা বির্তকে যাবো না আমরা শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত্রে শুধু ইবাদত করবো না আমরা চেষ্টা করবো পুরো মাস জুড়ে নফল ইবাদত, নফল রোযা এবংঅন্যান্য আমল গুলো করতে।  আল্লাহ তাআলা আমাদের আমল গুলো করার তৌফিক দান করুন।আমিন

No comments

Powered by Blogger.