পবিত্র মাহে রমজানে জিকির গুলো করলে হাঁসতে হাঁসতে জান্নাতে প্রবেশ করবেন - Islamer Rasta in Muslim

পবিত্র মাহে রমজানে জিকির গুলো করলে হাঁসতে হাঁসতে জান্নাতে প্রবেশ করবেন


যে আমলটি আপনাকে হাসতে হাসতে জান্নাতে পৌছাবে।তাই গুরুত্বপূর্ন  কথা গুলো ভিডিও টি না টেনে শোনার জন্য অনুরোধ করছি। এই মাহে রমযানের মাসে আমরা আমল গুলো করে আমরা সবাই জান্নাত বাসী হতে চাই ।যে ব্যক্তি দুনিয়াতে এই আমলগুলো সাথে লেগে থাকবেন তারা কেয়ামতের দিন হাসতে হাসতে জান্নাতে চলে যাবেন। যেদিন মানুষ মানুষকে চিনবে না, যেদিন বন্ধু বন্ধুকে চিনবে না, যেদিন স্ত্রী তার প্রিয়তম স্বামীকে চিনবে না স্বামী তার প্রিয়তম স্ত্রীকে চিনবে না। সব চেয়ে ভংয়কর বিষয় হচ্ছে যেদিন সন্তানকে পিতা মাতা চিনবে না, আর পিতা মাতা সন্তান কে চিনবে না। 

প্রিয় দর্শক, সেই ভয়াবহ দিনে তারা হাসতে থাকবে। তারা আল্লাহ রব্বুল আয়ালামিনের উপরে সন্তুষ্ট থাকবে কেননা আল্লাহ তাদেরকে এতো নিয়ামত দান করবেন, যে তারা আল্লাহর উপর পরিপূর্ন কৃতজ্ঞ থাকবে। প্রিয় দর্শক একবার ভেবে দেখুন এই আমলগুলো আমাদের কার না করা উচিত। যে আমলগুলো আমাকে হাসতে হাসতে জান্নাতে পৌছে দিবে।

প্রিয় দর্শক শুরুতে সুরা রাদের ২৮ নং আয়াতে আপনাদের স্মরন করিয়ে দিতে চাই। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যারা মুমিন আল্লাহ প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কারী তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে, আর জেনে রেখ আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়। এ আয়াত থেকে কী বুঝলাম? মুমিন মুসলমানের যদি আত্মার প্রশান্তি দরকার হয়, তা হলে নিরিবিলি পরিবেশে চুপচাপ, এক মনে আল্লাহর জিকির করতে হবে। আচ্ছা! অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, আমি তো নামমাত্র মুসলমান, আমাকে কি আল্লাহ স্মরন করবেন? অবশ্যই, আল্লাহ অবশ্যই আপনাকে স্মরন করবেন। শর্ত  হলো, আপনিও আল্লাহকে স্মরন করুন। ব্যস শর্ত একটি আল্লাহকে স্মরন করলে আল্লাহকে আপনাকে স্মরন করবেন, এটিই আল্লাহর ওয়াদা। কথাটি  আল্লাহ পাক নিজে  কুরআন পাকে বলেছেন। আল্লাহ পাক বলেন, সুরা বাক্কারা, আয়াত নং ১৫২, সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরন কর, আমিও তোমাদের  স্মরন করবো। আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর, অকৃতজ্ঞ হয়োনা। সুবহানাল্লাহ


প্রিয় দর্শক আসুন এবার আমরা এই আমলের উপকারিতা সর্ম্পকে জেনে নিই। জিকিরের ফজিলত সর্ম্পকে বলতে গিয়ে রাসুল (স) বলেন,যে ব্যক্তি আল্লাহর জিকির করে আর যে করে না তাদের দৃষ্টান্ত হলো জীবিত ও মৃত ব্যক্তির মতো। (সহীহ বুখারী হাদিস নং-৬০৪৪)

এছাড়াও রাসুল (স) আরো বলেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার লা ইলাহা ইল্লালল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর, বলবে, সে দশটি গোলাম আযাদ করার সমান সওয়াব লাভ করবে, তার নামে ১০০ টি সওয়াব লেখা হবে ও তার আমলনামা হতে ১০০ টি গুনাহ মুছে ফেলা হবে।
আর সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তানের যাবতীয় ধোঁকা থেকে মুক্ত থাকবে। কেয়ামতের দিন কেউ তার থেকে ভালো আমল আনতে পারবেনা, একমাত্র এই ব্যক্তি ব্যতীত যে তার থেকে বেশি নেক আমল করেছে (সহীহ বুখারী হাদিস নং ৬০৪০)

আল্লাহর জিকিরে কি লাভ কোরআন ও হাদিসের আলোকে তা যখন জানলেন, তখন চুপচাপ বসে থাকার  সুযোগ আছে কি? প্রিয় ভাই এবং বোনেরা আল্লাহর জিকির থেকে শ্রেষ্ঠ কোন আমল আছে কি? সিদ্বান্ত আপনার, আমলনামাও আপনার । যেমন কর্ম তেমন ফল। চলতে ফিরতে হাটতে বসতে অফিসে আদালতে কাজের ফাকে অসংখ্য সময় আমাদের হাতে পড়ে আছে এই জিকিরে মসগুল থাকার জন্য। আচ্ছা একবার ভাবুনতো, এই জিকিরের মাধ্যেমে যদি আল্লাহকে পাওয়া যায়, তখন আর কবর, হাশর, পুলসিরাতের বিপদ আপদ পোহাতে হবে না। ইনশাআল্লাহ। হাসতে হাসতে জান্নাত। আবার সামনে রমযান মাসের মতো বোনাসের মাস নির্বোধ ছাড়া এ সুযোগ কেউ হাতছাড়া করবে বলে মনে হয় না। মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করুন, ইবাদাত, জিকির,তিলোয়াত, দোয়া, তওবা, ইস্তেগফার, কান্নাকাটিতে রাঙিয়ে তুলুন আপনার মূল্যবান সময়। মনে রাখতে হবে, বেশি বেশি জিকিরের একমাত্র প্রতিদান হলো হাসতে হাসতে জান্নাত।

প্রিয় দর্শক যারা হাসাতে হাসতে জান্নাতে যেতে চান আসুন উঠতে বসতে অবসর সময়ে অফিসের ফাঁকে,কাজ করতে করতে, গাড়ীতে বাসে, বাজার করতে করতে, রিক্রসায় উঠতে প্রতিনিয়ত এই জিকির  এবং ফিকিরের সাথে আমরা থাকি। সুবহানাল্লাহ, আলাহামদুল্লিাহ, আল্লাহুআকবার এই জিকির গুলো জিকিরের বাক্যের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্য। এছাড়াও রাসূল (স) বলেছেন, আসমান এবং জমিনের মধ্যখানে যা কিছু আছে তার থেকেও শ্রেষ্ঠ হলো দুটি বাক্য আর সে দুটি বাক্য হলো সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি ‍সুবহানাল্লাহহিল আজিম
এছাড়াও প্রিয় দর্শক কালেমায়ে তাইয়্যেবার জিকিরও করতে পারেন, লা ইলাহা ইল্লালল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ (স:)

প্রিয় দর্শক এর থেকে শ্রেষ্ঠ নিয়ামত আর কি হতে পারে। আসুন প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়ে মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত জিকিরের সাথে থাকবো, আল্লাহর স্মরন অন্তরে সব সময় রাখাবো তাহলে আল্লাহ আমার সাথে যে ওয়াদা দিয়েছেন সুরা বাকারার ১৫২ নম্বর আয়াতে তোমরা আমাকে স্মরনকর, আমিও তোমাদের স্মরন করবো।
আল্লাহ পাক আমাদের সর্বাবন্থায় বেশী বেশী জিকির করার তৌফিক দান করুন। আমিন

No comments

Powered by Blogger.