নামাজের ভেতর ওযু ভেঙ্গে গেলে করনীয়। সকল মুসলিমদের জানা উচিত
নামাজের ভিতর ওযু ভেঙ্গে গেলে করনীয়। আমাদের অনেক মুসলিম ভাইদের মনে প্রশ্ন নামায রত অবস্থায় অযু ভেঙ্গে গেলে কি করবো। তাই এই সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে ভিডিও টি না টেনে সর্ম্পূন দেখুন প্রিয় দর্শক, তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই নামায রত অবস্থায় ওযু ভেঙ্গে গেলে করনীয়। আমরা জানি নামাজ চালাকালীন অবস্থায় কাতারের সামনে দিয়ে হাটা নিষেধ। এইটা অনেকেই জানে না রসুল (স:) বলেছেন, তোমরা যখন সালাত আদায় করবে তখন যদি কেউ তোমার সামনে দিয়ে যায় তাকে ঠেকিয়ে দাও। তাহলে সে বুজবে তুমি নামাজি। তিন বারের সময় ও তাকে ঠেকিয়ে দাও। এর পড়ে যদি আবার সে তোমার নামাজ এর সময় সামনে দিযে যায় তাহলে আগাত করো।কেননা শয়তার তার উপর আসর করেছে। তিনবার থামিয়ে দেওয়ার পর সে কেন যাবে নামাজের সামনে দিয়ে। এইটা হচ্ছে একা একা যখন সুন্নাত নামাজ পড়বেন বা একা একা যখন ফরজ সলাত আদায় করবেন তখন আপনার সামনে দিয়ে কেউ রসুল (স:) বলেছেন, একজন নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে হাটলে কি পরিমান গুনাহ হয় সেটা যদি সে ব্যক্তি জানতো তাহলে ৪০ বছর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতো। নামাজের সামনে দিয়ে সে হেঁটে যেত না।প্রিয় দর্শক, যদি জামাত চলাকালীন যদি অযু ভেঙ্গে যায় তখন যারা কাতারে নামাজ পড়ছে সেই কাতারের কোন এক পাশে দিয়ে গিয়ে অযু করে আবার কারও সাথে কোন কথা না বলে নামাযে অংশগ্রহন করতে হবে। প্রিয় দর্শক, একা যদি নামাজ পরেন, তাহলে নামাজের যে অংশ থেকে আপনার অযু ভেঙ্গে গিয়েছে আবার অযু করে পববতীতে সে অংশ থেকে নামাজ আদায় করতে হবে।প্রথম থেকে শুরু করার দরকার নেই।তবে নামাজ ছেড়ে অযু করে নামাজে আশা পর্যন্ত কারো সাথে কথা বলা যাবে না। তবে অজুতে যাওয়ার সময় আপনাকে যদি অনেকগুলো মানুষের সামনে দিয়ে যেতে হয়, সেক্ষেত্রে আপনাকে যেতে হবে।শুধু তাই নয়, নামায চলা কালিন সময়ে আপনার ইস্তেঞ্জার বেগ যদি অনেক বেশি আকার ধারন করে, আপনার জামা কাপড় নষ্ট হবে যাবে বা আপনার শারীরক অসুস্থাতা থাকে, তাহলে যেকোন মূল্যে আপনাকে পবিত্রতা অর্জনের জন্য জামাত বব্ধ নামায থেকে দূরে সরে যেতে হবে। কেননা আল্লাহর ঘর পবিত্র স্থান কোন ভাবেই নাপাক করা যাবে না।একান্তই যদি আপনি মজবুর হয়ে না যান, তাহলে এমতাবস্থায় আপনি চাইলে নামায রত মুসলিমদের কাতার দিয়েও হেটে যেতে পারবেন। কারন আপনি পরিস্থির শিকার। মহান আল্লাহ রব্বুল আল-আমিন আমাদের সকল বিষয়ে জানেন বুঝেন এবং দেখেন। নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমাশীল । আল্লাহ পাক আমাদের মাসআলা জানার তৌফিক দান করুন।
Leave a Comment